কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের প্রশ্রয়দাতাদের আইনের আওতায় আনা হবে: র‌্যাব

রাজধানীর উত্তরায় র‍্যাব-১–এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন র‍্যাব-১–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাক আহমেদছবি: র‍্যাবের সৌজন্যে

বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা স্থানীয় ‘বড় ভাইদের’ প্রশ্রয়ে বিভিন্ন অপরাধ করে থাকে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-১–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাক আহমেদ। যেসব ‘বড় ভাই’ মদদ দিয়ে থাকেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র‍্যাব-১–এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন র‍্যাব-১–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাক আহমেদ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে ছয়টি কিশোর গ্যাং গ্রুপের দলনেতাসহ ৩৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, প্রতিটি কিশোর গ্যাংয়ে ১০ থেকে ১৫ সদস্য থাকে। তারা টাকার বিনিময়ে মারামারি, দখলবাজি, পিকেটিং, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ করে। গ্রেপ্তার হওয়া ৩৭ জনের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, অস্ত্র, ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

র‍্যাব-১–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাক আহমেদ বলেন, বর্তমান সময়ে কিশোর গ্যাং, গ্যাং কালচার ও উঠতি বয়সী ছেলেদের মধ্যে ক্ষমতা বিস্তারের ঘটনা বহুল আলোচিত। গ্যাং সদস্যরা এলাকায় নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করার জন্য উচ্চৈঃশব্দে গান বাজিয়ে দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায়, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালায়, পথচারীদের উত্ত্যক্ত করে এবং ছোটখাটো বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর চড়াও হয়ে হাতাহাতি-মারামারি করে। এ ছাড়া তারা নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য একই এলাকায় অন্যান্য গ্রুপের সঙ্গে প্রায়ই কোন্দলে লিপ্ত থাকে। কিশোর গ্যাংয়ের নামে অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়টি গ্রুপের দলনেতা রয়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন কিশোর। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন আল-আমিন (২৪), ইসলাম (২৯), জুয়েল (২২), মাহাবুব (১৯), সাদ (২২), রোহান (২২), মনা (২৮), হৃদয় (২০), ওবায়েদ (১৮), জিসান (১৯), আকাশ (৩০), ঈমন (২০), রমজান (২১), সজিব (১৮), শাকিব (২২), রাজিব (১৯), আমির হোসেন (৩৬), শাহজাহান সাজু ওরফে রাসেল (৪৫), জিলাদ মিয়া (২০), হৃদয় (১৯), বাবু মিয়া (২২), শাহজাহান (২১), জালাল মিয়া (২৮), সাকিন সরকার রাব্বি (১৮), সুজন মিয়া (১৯), খাইরুল (১৯) ও রাহাত (১৯)।