ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হত্যাকাণ্ডে বর্ষাসহ তিনজনের স্বীকারোক্তি

মো. জোবায়েদ হোসেনছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বার্জিস শাবনাম বর্ষাসহ তিন আসামি। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তাঁরা আজ মঙ্গলবার এই জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দি দেওয়া অপর দুই আসামি হলেন মাহির রহমান ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, জোবায়েদ হোসেন হত্যা মামলায় বর্ষাসহ তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

পিপি ওমর ফারুক ফারুকী প্রথম আলোকে বলেন, সাক্ষী হিসেবে প্রিতম চন্দ্র দাস আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

এর আগে আজ দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এক মাস আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, পড়াতে গিয়ে জোবায়েদের সঙ্গে বর্ষার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে বর্ষার সঙ্গে আগে থেকেই মাহিরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এটা মূলত ত্রিভুজ প্রেমের গল্প।

নজরুল ইসলাম আরও বলেন, মাহিরকে বর্ষা বলেন যে, জোবায়েদকে না সরালে তিনি মাহিরের হতে পারবেন না। এরপর জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। গ্রেপ্তার দুই আসামি মাহির ও বর্ষাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ এসব তথ্য জেনেছে বলে তিনি জানান।

পুলিশ কর্মকর্তা মল্লিক আহসান উদ্দিন ব্রিফিংয়ে বলেন, বাসার নিচে ছুরি দিয়ে আঘাতের পর জোবায়েদ বাঁচার জন্য সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠে আসেন। বেশ কয়েকটি বাসার দরজায় তিনি নক করেন। কেউ খোলেননি। তৃতীয় তলায় এসে তিনি বর্ষার কাছে বাঁচার আকুতি জানান। তবে বর্ষা তাঁকে সাহায্য করেননি।

জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি বর্ষাকে টিউশন পড়াতেন।

আরও পড়ুন