উচ্ছেদের আতঙ্কে বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকসহ ৪ ফ্ল্যাটমালিক

অপরাধ
প্রতীকী ছবি

ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি প্লটে ছয়তলা বাড়ি নির্মাণের পর ফ্ল্যাটগুলো বিক্রি করে আইডিয়াল রিয়েল এস্টেট নামের এক আবাসন প্রতিষ্ঠান। পরে ‘ভুয়া’ মালিক সেজে এই প্লট বন্ধক রেখে ৮০ লাখ টাকা ব্যাংকঋণ তুলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান পালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে ২২ ফেব্রুয়ারি এই বাড়ি নিলামে তুলছে মার্কেন্টাইল ব্যাংক। এ অবস্থায় ফ্ল্যাটগুলোর বৈধ মালিকেরা এখন আছেন উচ্ছেদের আতঙ্কে।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বসুন্ধরা এলাকার এফ ব্লকের ওই প্লটে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষকসহ চারজন পাঁচটি ফ্ল্যাট কিনে থাকছেন। তাঁদের মধ্যে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক খলিকুজ্জামান ইলিয়াসও রয়েছেন। অন্য তিন মালিকের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক এম ইমদাদুল হকের দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে।

অধ্যাপক ইমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ছয়তলা ভবনটিতে বসবাসকারী চারটি পরিবার ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বসুন্ধরার মাধ্যমে ফ্ল্যাট নিবন্ধন, নামজারি ও কর পরিশোধ করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। তিনি প্রথম ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন ২০১০ সালে। তাঁরা জেনেছেন, ফ্ল্যাট বিক্রির পর আইডিয়াল রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দুই দফায় ব্যাংক থেকে ৮০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। পরে ঋণ পরিশোধ না করে ২০১৮ সালে বিদেশে পালিয়েছেন।

এই শিক্ষকের অভিযোগ, শফিকুর রহমান ঋণ পরিশোধ না করায় অর্থঋণ আদালতে মামলা হয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঋণগ্রহীতা শফিকুর ও তাঁর সহযোগীদের আইনের আওতায় না এনে ফ্ল্যাটমালিকদের হুমকি দিচ্ছে। এখন বাড়ি নিলামে তুলে উচ্ছেদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে শিক্ষক খলিকুজ্জামান ইলিয়াস প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ২০১২ সালে ফ্ল্যাট কেনেন। ভবনটি যে প্লটে, সেটি বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার বিষয় তিনি জানতেন না। এখন বাড়িটি নিলামে তোলা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঋণ নিয়েছেন জমির মালিক। তিনি যখন ঋণ নেন, তখন প্লট একেবারে ফাঁকা ছিল। পরে বাড়ি নির্মাণ করে ফ্ল্যাট বিক্রি করা হয়েছে। জমির মালিক ঋণ পরিশোধ না করায় আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আদালত বাড়িটি নিলামে বিক্রির রায় দিয়েছেন। যাঁরা ফ্ল্যাট কিনেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয়নি।’