জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার: র‍্যাব

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র‍্যাবছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব। রোববার রাতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আনসার আল ইসলামের ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কারী ও প্রশিক্ষণ শাখার প্রধান আবদুর রাজ্জাক ওরফে ইসহাক ওরফে সাইবা (৪১), শরিফুল ইসলাম (৩১), আশিকুর রহমান (২৭), মুহাম্মদ জাকারিয়া ওরফে আবরার (২৪), আল আমিন ওরফে সামুরা (২৪) ও আবু জর মারুফ (১৮)।

র‍্যাব সূত্র জানায়, গত জুনে ভারতের গুজরাট রাজ্যে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) হাতে চার বাংলাদেশি জঙ্গি গ্রেপ্তার হন। তাঁদের গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশি আরও দুই শীর্ষ জঙ্গির নাম ঘোষণা করেছিল এনআইএ। ওই দুজন হলেন রোববার গ্রেপ্তার আবদুর রাজ্জাক ও শরিফুল ইসলাম।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে জঙ্গি সংগঠন আল–কায়েদার মতাদর্শে আনসার আল ইসলামের কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। তবে সরাসরি আল–কায়েদার সদস্য নন তাঁরা।

র‍্যাবের তথ্য অনুযায়ী, শরিফুল ২০১৮ সালে আনসার আল ইসলামে যোগ দেন। ২০১৯ সালে চারজনকে নিয়ে ভারতে যান তিনি। ওই বছরের শেষ দিকে তাঁদের ভারতে রেখে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। পরে এনআইএ শরিফুল ও আবদুর রাজ্জাকের নাম ঘোষণা করলে বাংলাদেশ তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১।

র‍্যাব আরও জানায়, আবদুর রাজ্জাক ২০১৫ সালে আনসার আল ইসলামে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনটির বর্তমান আমির আবু ইমরানের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। আমিরের নির্দেশেই তিনি ঢাকার সাভার, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, ময়মনসিংহ অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আনসার আল ইসলামের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।