স্বীকারোক্তি দিতে চেয়েও খাসকামরায় গিয়ে মত পাল্টালেন তিন আসামি

রিমান্ড শেষে এই চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়ছবি: প্রথম আলো

পুরান ঢাকায় ন্যাশনাল হাসপাতালের সামনে তারিক সাইফ মামুনকে গুলি করে হত্যার মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে চার আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতে আসার আগে তিন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। কিন্তু বিচারকের খাসকামরায় গিয়ে জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করেন।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিরা হলেন মো. ফারুক হোসেন ফয়সাল, রবিন আহম্মেদ পিয়াস, মো. রুবেল ও শামীম আহম্মেদ।

১১ নভেম্বর রাতে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে নরসিংদী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে মামুন হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি জোনাল টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) কৃষ্ণ কুমার দাস মোহাম্মদপুর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন। ১২ নভেম্বর অস্ত্র মামলায় তাঁদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ১৬ নভেম্বর মামুন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই আবু বকর জানান, রিমান্ড শেষে আজ চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। ফারুক, রবিন ও রুবেলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ জন্য তাঁদের পৃথক তিন আদালতে নেওয়া হয়। তবে তাঁরা খাসকামরায় গিয়ে জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর এই তিন আসামিসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

পুরান ঢাকার আদালতপাড়ার কাছে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ফটকে ১০ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে গুলি করে হত্যা করা হয় মামুনকে। মামুনের স্ত্রী বিলকিস আক্তার পরে ঢাকার সূত্রাপুর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার বিবরণে বলা হয়, ‘কতিপয় দুষ্কৃতকারী’ দিনদুপুরে জনসমক্ষে মামুনকে গুলি করে হত্যা করে।

আরও পড়ুন