পল্লবীতে তরুণকে কুপিয়ে হত্যা: সিসি ক্যামেরায় খুনের দৃশ্য, গ্রেপ্তার আরও ৩
রাজধানীর পল্লবীতে ব্যস্ত রাস্তায় গত শনিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদ ফয়সাল নামের এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে মাদকের টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে। এ ঘটনায় নতুন গ্রেপ্তার তিনজনের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ফয়সালকে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনাটি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজেও ধরা পড়েছে।
ডিবি জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার পল্লবী ও পটুয়াখালী জেলা থেকে শাহিন ও পারভেজ আহম্মেদ নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার ভোরে নেত্রকোনা থেকে মুরাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পল্লবী থানা-পুলিশ। তাঁরা হলেন ইয়াসিন, সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইমন, নাসির উদ্দিন, হৃদয় ওরফে ওমর সাফি, রাজীব মিয়া, শাহনেওয়াজ কাল্লু ও তানজিলা। শুরুতে মামলাটি তদন্ত করেছিল পল্লবী থানা-পুলিশ। তবে এখন মামলাটি তদন্ত করছে ডিবি।
আজ ডিএমপি নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাদকের টাকা ভাগাভাগি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ফয়সালকে খুন করে কিশোর গ্যাং। ১৬ মার্চ (শনিবার) মোহাম্মদ ফয়সালসহ চারজন পল্লবীর ২ নম্বর কমিউনিটি সেন্টারে ইফতার শেষে রিকশায় করে বাসার যাচ্ছিল। মিরপুর-১২–এর সি ব্লকের ১৩ নম্বর সড়কে রিকশাটি আসার পর কয়েকজন দেশি অস্ত্র দিয়ে ফয়সালকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় ফয়সালের সঙ্গে থাকা রানা বাধা দিলে তাঁকেও রক্তাক্ত করা হয়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফয়সালকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর বন্ধু রানা আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় ফয়সালের বাবা মো. শাহাদাত হোসেন পল্লবী থানায় একটি মামলা করেন।
ডিএমপি নিউজে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তার আসামিরা ফয়সাল খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আসামি শাহিন ও তাঁর বোন তানজিলার সঙ্গে মাদকের টাকা ভাগাভাগি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে ১৫ মার্চ ফয়সাল ও তাঁর বন্ধুর বিরোধ হয়। এ কারণে শাহিনসহ অন্যরা ফয়সালকে হত্যা করেন।