শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি এক যুগ পর গ্রেপ্তার

মাসুদ আহমেদ শাকিল
ছবি: পুলিশের বিশেষায়িত অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট

২২ বছর আগে সিলেটে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় পলাতক হরকাতুল জিহাদের সদস্য মাসুদ আহমেদ শাকিল ওরফে সুমন (৪৫) গ্রেপ্তার হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশের বিশেষায়িত অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট (এটিইউ) তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

এটিইউ বলেছে, গ্রেপ্তার শাকিল নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামি বাংলাদেশের (হুজি–বি) সদস্য। তিনি জামিনে গিয়ে এক যুগের বেশি সময় পলাতক ছিলেন।

আজ রাতে এটিইউয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর হুজিবির সদস্য শাকিল, চিকিৎসক আরিফ আহমদ ওরফে রিফা ও আবু ওবায়দা ওরফে হারুন সিলেটে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় শেখ হাসিনাকে বোমা মেরে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। জনসভাটি হওয়ার কথা ছিল সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে। হামলার আগের দিন রাতে জনসভাস্থলের পাশের ফাজিল চিশত এলাকায় আরিফ আহমেদ রিফার ভাড়া দেওয়া মেসঘরে বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে দুই বোমাবাজ নিহত হন। আহত অবস্থায় হুজি সদস্য মাসুদ আহমেদ শাকিল (ঢাকা) ও আবু ওবায়দা ওরফে হারুন (ফেনী) গ্রেপ্তার হন। ওই ঘটনায় শাকিলকে প্রধান আসামি করে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। সে সময় শাকিল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। দীর্ঘ কয়েক বছর পর তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে এক যুগের বেশি সময় পলাতক ছিলেন। এটিইউ গোয়েন্দা তথ্য ও নজরদারির মাধ্যমে তাঁর অবস্থান শনাক্ত করে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

এটিইউয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শাকিল ব্যবসার ফাঁকে ফাঁকে তাবলিগ জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০০০ সালে এহতেশাম উল হক নামের একজনের সঙ্গে শাকিলের পরিচয় হয়। এরপর এহতেশামের মাধ্যমে তাঁর পরিচয় হয় আরিফ ও আবু ওবায়দার সঙ্গে। তাঁরা সবাই হুজিবির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এসব সদস্য সিলেটের সুরমা ভ্যালি হোটেলে প্রায়ই অবস্থান করে নাশকতার পরিকল্পনা করতেন।

উল্লেখ্য, মো. এহতেশাম উল হক মেজর জেনারেল ছিলেন, যিনি বর্তমানে অবসরে আছেন। তিনি ২০০৯ সালে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন