র্যাব বলছে, রিয়াদ সাত থেকে আট ধরনের পরিচয় দিতেন। তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। একসময় ডিবি-পুলিশে কর্মরত একজন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক হিসেবে চাকরি করতেন। ওই কাজ করার সময় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিতেন। ২০১৯ সালের দিকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয় দিয়ে একটি পরিচয়পত্র তৈরি করেন। এরপর তিনি পরিচয়পত্র দিয়ে বিভিন্ন ঠিকাদারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা লাভের চেষ্টা করেন।
র্যাব জানায়, রিয়াদ একপর্যায়ে র্যাবের কর্মকর্তা হিসেবে নিজের পরিচয় দেন। এ জন্য র্যাবের সরকারি মুঠোফোন নম্বরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিম কেনেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ওই নম্বর ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ওয়ারেন্ট ও মামলার কথা বলে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেন। এসব অভিযোগ পাওয়ার পর গতকাল রাতে নগরের চান্দগাঁও থানার হাজির পোলের একটি বাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর কাছ থেকে কয়েকটি ইয়াবা ও নকল পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
রিয়াদের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ার পাইকপাড়ায়। তাঁর বাবার নাম সেলিম উদ্দীন। তাঁর বিরুদ্ধে নগরের চকবাজার থানায় নারী-নির্যাতনের মামলা রয়েছে। র্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, রিয়াদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।