কখনো বড় সরকারি কর্মকর্তা, কখনো শীর্ষ সন্ত্রাসী পরিচয়ে ফোন দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতেন তাঁরা
সংঘবদ্ধ একটি প্রতারক চক্র শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পরিচয় দিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করছিল। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গত মঙ্গলবার ঢাকা ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. আবদুল মান্নান দুলাল ওরফে জাহাঙ্গীর (৫৫), মো. নাসিম হাসান ওরফে লাভলু (৪৪) এবং ইলিয়াস শিকদার ওরফে বেলায়েত (৫৪)।
শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, সংঘবদ্ধ একটি প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরে মুঠোফোনে নিজেদের সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাৎসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীর পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং প্রতারিত করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১ জুলাই মঙ্গলবার ডিবি মতিঝিল বিভাগের একটি দল রাজধানীর মিরপুরের মধ্য পাইকপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মান্নানকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে একই চক্রের সদস্য নাসিম হাসানকে এবং গাজীপুরের গাছা এলাকা থেকে ইলিয়াস শিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ২টি ল্যাপটপ, ১টি ট্যাব, ৫২টি মুঠোফোন, ১৯০টি সিম কার্ড, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামসংবলিত ৮টি সিল, ৫টি ভুয়া পরিচয়পত্র এবং নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পুলিশ কর্মকর্তাদের বলেছেন, তাঁরা সংঘবদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন নিজেদের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, কখনো শীর্ষ সন্ত্রাসী পরিচয় দিয়ে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিশানা বানিয়ে ফোন করে হুমকি দেওয়া ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। কখনো কখনো বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে তাঁরা বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিতেন। এ অপরাধ করতে একাধিক সিম কার্ড ও মুঠোফোন ব্যবহার করতেন তাঁরা। প্রতারণার শিকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতেন।