আড়াই বছর আগে এক ছাত্রীর ব্যক্তিগত কিছু ছবি ইন্টারনেটে ছড়ানোর হুমকি দিয়ে টাকা দাবির অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যক্তিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ড পাওয়া ব্যক্তির নাম শচিন বড়ুয়া।
আজ রোববার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিম এ রায় দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি গোবিন্দ নারায়ণ রায় প্রথম আলোকে বলেন, আদালত আসামি শচিন বড়ুয়াকে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের এক ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড এবং আরেকটি ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। জরিমানা ক্ষতিপূরণ হিসেবে মামলার বাদী ওই ছাত্রী পাবেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৫ মার্চ চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার এলাকার একটি বেসরকারি ছাত্রীনিবাসের এক ছাত্রীকে অপরিচিত মুঠোফোন নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর কিছু ব্যক্তিগত ছবি পাঠিয়ে ২০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে ছাত্রীর ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছড়ানোর হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে নগরের চকবাজার থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আসামি শচিন বড়ুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আদালত এ মামলার বিচার শুরু করেন। সাত সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।