মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী রোকনুজ্জামান গ্রেপ্তার

হাতকড়া
প্রতীকী ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পলাতক যুদ্ধাপরাধী খান রোকনুজ্জামানকে (৭২) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তাঁর বাড়ি সাতক্ষীরা সদর থানা এলাকায়। গতকাল শনিবার সাভার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে র‍্যাব।

র‍্যাব সূত্র জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে রোকনুজ্জামানসহ রাজাকার বাহিনীর দোসররা সাতক্ষীরায় নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা-গণহত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন। রাজাকার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য হিসেবে রোকনুজ্জামান সরাসরি অভিযুক্ত। তিনি পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সাতক্ষীরা জেলায় পাঁচ ব্যক্তিকে গলা কেটে ও একজনকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা, দুজনকে ধর্ষণ ও ১৪ জনকে আটক করে নির্যাতনের মত অপরাধে জড়িত ছিলেন।

র‍্যাব সূত্র আরও জানায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৫ সালে সাতক্ষীরায় রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়। পরবর্তী সময়ে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনাল দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত বছরের মার্চ রোকনুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর থেকে পলাতক এই যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়।