যাত্রাবাড়ীতে আ.লীগ নেতা আবু বকর হত্যার প্রধান আসামি যুবদল নেতা ধরা পড়েননি

নিহত আবু বকর সিদ্দিক আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ইউনিটের সভাপতি ছিলেন
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ১৩ দিন আগে খুন হন আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪ নম্বর ইউনিটের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক। হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি করা হয় যাত্রাবাড়ী থানা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান ওরফে ফাহিমকে। হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনে আরও ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন আবু বকরের ভাই বাচ্চু মিয়া। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা গেলেও প্রধান আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিতুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আবু বকর সিদ্দিক হত্যার ঘটনায় বিভিন্ন সময় এজাহারভুক্ত আসামি আল আমিন, শাকিল ও ফালানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এ ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে ডিবির ওয়ারী বিভাগ। সেখানকার একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, মামলার প্রধান আসামি মুশফিকুর রহমানকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।

১৬ আগস্ট যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন আবু বকর সিদ্দিক। আবু বকরের ভাই বাচ্চু মিয়া এজাহারে উল্লেখ করেন, আবু বকর একজন ব্যবসায়ী। শহীদ ফারুক সড়কে ফুটপাতে বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপনের টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে আবু বকরের সঙ্গে মুশফিকুরের বিরোধ ছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে মুশফিকুরের নেতৃত্বে কয়েকজন ছুরি ও চাকু দিয়ে আবু বকর ও তাঁর বন্ধু রুবেলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক আবু বকরকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন শাকিল, মজে ওরফে মজো, কবির, সামু, ফালান, সেলিম, পারভেজ, বাবু, আল-আমিন ও সুজন। এজাহারে বলা হয়, তাঁরা সবাই মুশফিকুরের সহযোগী। হত্যাকাণ্ডে অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিন-চারজন অংশ নিয়েছিলেন।