পৌনে ৩ কোটি টাকার হীরার অলংকার চুরি: ৬ চোর চিহ্নিত তবে ধরতে পারেনি পুলিশ
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় একটি বিপণিবিতানে হীরার দোকান থেকে পৌনে তিন কোটি টাকার অলংকার চুরির ঘটনার দুই দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চুরির এ ঘটনায় জড়িত ছয়জনকে চিহ্নিত করেছে তারা।
গত রোববার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মেট্রো শপিংমলের তৃতীয় তলায় ট্রাস্ট ডায়মন্ড নামের একটি হীরার দোকানের তালা কেটে প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকার হীরার অলংকার চুরি হয়। ওই ঘটনায় দোকানের ব্যবস্থাপক পলাশ সাহা বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি চুরির মামলা করেছেন।
মামলা অনুযায়ী, গত রোববার সকাল ১০টা ৮ মিনিটে অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জন তালা কেটে দোকানে ঢোকে। ১০টা ১৮ মিনিটে অলংকার নিয়ে চলে যায় তারা। চুরি হওয়া অলংকারের মধ্যে হীরার ২৪২টি নাকফুল, ৩৫০টি আংটি, ১৭৭টি লকেট, ১৩৬ জোড়া কানের দুল, ৬৯টি হার, ৩৯টি চুড়ি, ৯টি ব্রেসলেট ও ২০টি সোনার চেইন রয়েছে। এগুলোর আনুমানিক দাম ২ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. পারভেজ ইসলাম আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ওই বিপণিবিতানে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। এসব ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছয়জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের এখন গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
চুরির ঘটনার সময় বিপণিবিতানের কিছু দোকান খোলা থাকলেও কীভাবে চুরির ঘটনা ঘটল—প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা পারভেজ ইসলাম বলেন, হীরার ওই দোকানের অবস্থান শৌচাগারের পাশে। তাই সেখানে লোকজনের ভিড় থাকত। এ সুযোগই কাজে লাগিয়েছে চোরেরা।
দোকানটির ব্যবস্থাপক পলাশ সাহা সেদিন সকাল ১০টা ২২ মিনিটে গিয়ে দেখতে পান, দোকানের দুটি তালা খোলা। দ্রুত তিনি কর্মচারীদের মাধ্যমে ধানমন্ডি থানায় চুরির বিষয়টি জানান। এ সময় ধানমন্ডি থানা-পুলিশ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দুটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ পরিদর্শন শেষে পলাশ সাহা দোকানের ভেতর মালামাল তছনছ করা অবস্থায় দেখতে পান।
পলাশ সাহা প্রথম আলোকে বলেন, আজ (মঙ্গলবার) মার্কেটে সাপ্তাহিক বন্ধ। গত রোববার রাতে তিনি মামলা করেছেন।
চুরির এ ঘটনায় করা মামলার ছায়া তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগ। ওই বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলে এলাহী আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, এসব চোর ঢাকার বাইরের কোনো চক্রের সদস্য হতে পারে বলে তাঁদের ধারণা।
ঢাকা মহানগর পুলিশ আইডেনটিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম (এসআইভিএস) নামে একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ৫০টি থানা এলাকার একটি তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলেছে। এর তথ্য বলছে, ঢাকায় ৩ হাজার ৬১০ চোর, ১ হাজার ৭৩৭ ছিনতাইকারী ও ৪ হাজার ৪৬১ ডাকাত আছে।