মাদক মামলায় খালাস পেলেন ‘মডেল’ পিয়াসা

ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসাছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশান থানার মাদক মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন কথিত মডেল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা। ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারেক এজাজ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মেসবাহ উদ্দিন।

এর আগে এ মামলায় ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলায় ১৪ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।

২০২১ সালের ১ আগস্ট রাজধানীর গুলশানের ভাড়া বাসা থেকে বিদেশি মদ, ইয়াবাসহ ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসাকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে পুলিশ।

আরও পড়ুন

গুলশান থানার মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযোগপত্রে বলা হয়, পিয়াসার বাসা থেকে জব্দ করা বিদেশি মদ, বিয়ার, সিসা, ইয়াবা সম্পর্কে সঠিক কোনো জবাব দিতে পারেননি তিনি।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, আসামি ফারিয়া মাহাবুব সমাজের উঁচু স্তরের মানুষের সঙ্গে চলাফেরা করতে পছন্দ করতেন। নিয়মিত তাঁদের সঙ্গে মাদক সেবন করতেন। আসামি বিভিন্ন ক্লাব থেকে মাদক কিনে বাসায় রাখতেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

মাদক মামলা থেকে খালাস পেলেও বারিধারা থেকেই মডেল পিয়াসা এবং মোহাম্মদপুর থেকে মৌকে গ্রেপ্তার করার পর তৎকালীন ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, 'পিয়াসা ও মৌ সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে আমরা অনেক ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ পেয়েছি। সেসব ঘটনা তদন্ত করতে গিয়েই তাদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুইজনের বাড়িতেই বিদেশি মদ, ইয়াবা, সীসা পাওয়া যায়। মৌ’র বাড়িতে মদের বার ছিল।'

হারুন আরও বলেছিলেন, ‘আটক দুই মডেল হচ্ছেন রাতের রানী। তারা দিনের বেলায় ঘুমাতেন এবং রাতে এসব কর্মকাণ্ড করতেন। উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে আনতেন তারা। বাসায় এলে তারা তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি-ভিডিও তুলে রাখতেন। পরবর্তীতে সেসব ভিডিও এবং ছবি ভিক্টিমদের পরিবারকে পাঠাবে বলে ব্ল্যাকমেইল করতেন এবং টাকা হাতিয়ে নিতেন।'

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মৌ’র মামলাটি ঢাকার আদালতে বিচারাধীন।