ইরাকে ছেলেকে নির্যাতন, ছবি পাঠিয়ে মায়ের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা আদায়

অপরাধ
প্রতীকী ছবি

ইরাকে গিয়ে বাংলাদেশি একটি অপরাধী চক্রের হাতে অপহরণের শিকার হন ঢাকার নবাবগঞ্জের বাসিন্দা মোসলেম মোল্লা (৩০)। তাঁকে নির্যাতনের দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে পাঠানো হয় মা খতেজা বেগমের কাছে। ছেলেকে বাঁচাতে চক্রের পাঠানো ১২টি মুঠোফোন নম্বরে আর্থিক সেবাদান প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা পাঠান তিনি।

এ ঘটনায় করা মামলার সূত্র ধরে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার ধানমন্ডিতে পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কুদরত-ই-খুদা এসব কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ছেলেকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় মোসলেমের মা বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে ঘটনাটি তদন্ত করেছে পিবিআই।

পরে এ ঘটনায় সম্প্রতি বরিশাল, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মাগুরা ও খুলনায় অভিযান চালিয়ে আটজনকে পিবিআই গ্রেপ্তার করে। তাঁরা হলেন আলী হোসেন (৪৯), মো. শামীম (২৫), শিরিন সুলতানা (৩৫), মোহাম্মদ ঘরামী (৫১), রবিউল ঘরামী (২৪), শাহিদা বেগম (৫২), শাহনাজ আক্তার (৩৮), মো. আকবর সরদার (৫৫)।

কুদরত-ই-খুদা বলেন, মোসলেম ২০১৬ সালে জীবিকার তাগিদে ইরাকে যান। সেখানে অবস্থানরত সেলিম মিয়া ও শামীমসহ অজ্ঞাত আসামিরা তাঁকে অপহরণ করেন। পরে মুক্তিপণ হিসেবে সাত লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না পেলে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। ছেলেকে বাঁচাতে অপহরণকারী দেওয়া অ্যাকাউন্টে ছয় লাখ টাকা পাঠান ভুক্তভোগীর মা।

পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় মোসলেমের মায়ের করা মামলার তদন্তে নেমে ইরাকে থাকা অপহরণকারী চক্রের এ আট সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।