২২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা

আল আমীন
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনানী এলাকার কড়াইল বস্তিতে আল আমীনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নিহত ব্যক্তির ভাই জুয়েল সরকার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর বাইরে অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আযম মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, মামলা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর বনানী এলাকার কড়াইল বস্তিতে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় আল আমীনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে হামলায় তিন নারীসহ ছয়জন আহত হন। আর মসজিদের ভেতরে কোপানো হয় আল আমীনের ভাই জুয়েলকে। জুয়েল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

মামলার এজাহারে বাদী জুয়েল অভিযোগ করেন, ‘ঘটনার দিন সকালে কড়াইলের এরশাদ স্কুল মাঠে চাচাতো ভাই জসিম উদ্দিনের ছেলে নিহাদ সরকারকে মারধর করে স্থানীয় নুর আলমের ছেলে তুষার। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় নুর আলম আমাকে হুমকি দেন। পরে নুর আলমের নেতৃত্বে মোহাম্মদ আলী, মো. খাজাসহ ২২ জন আমাদের দুই ভাইয়ের ওপর হামলা করে।’

আরও পড়ুন

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি ঢাকা মহানগর উত্তরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১ নম্বর ইউনিটে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন হয়। এতে পদ পাওয়া না পাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মফিজুর রহমান ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাদের খানের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়ান। নিহত আল আমীন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমানের সমর্থক ছিলেন।

এলাকাবাসী বলছেন, আওয়ামী লীগের কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটলেও এর পেছনে রয়েছে এলাকার নিয়ন্ত্রণ। আল আমীন ও তাঁর ভাই কাউন্সিলর মফিজুর রহমানের অনুসারী। আর হামলাকারীরা আজাদ নামের আরেকজনের অনুসারী। আজাদ কাদের খানের সমর্থক। গত কাউন্সিলর নির্বাচনে আজাদ মফিজুর রহমানের কাছে হেরে যান। কড়াইল বস্তি এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে তাঁরাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এরশাদ স্কুল মাঠের পাশের এক দোকানদার প্রথম আলোকে বলেন, আল আমীন কড়াইল বস্তি এলাকায় ইন্টারনেট ও ডিশ লাইনের ব্যবসা করতেন। এই ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে এবং বস্তির নিয়ন্ত্রণ নিতে নুর আলম এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।