ধর্ম অবমাননার অভিযোগে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রিমান্ডে
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী বিশ্বজিৎ চন্দ্র বর্মণের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিমান্ড শুনানির জন্য বিশ্বজিৎকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করে। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী গুলজার হোসেন বলেন, ‘প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে আসামির সঙ্গে বিরোধ থাকায় বাদী তাঁর বিরুদ্ধে এ মামলা করেছেন। মামলার অভিযোগ মিথ্যা।’
বিশ্বজিৎ সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল উল্লেখ করে তাঁর আইনজীবী আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাঁর (বিশ্বজিৎ) মোবাইল ও ল্যাপটপ জব্দ করেছে। তিনি যদি কিছু করে থাকতেন, সেখানেই তা পাওয়ার কথা। নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুদ্দোহা সুমন শুনানিতে বলেন, ‘গত ছয় মাসে ধর্ম অবমাননার যে ঘটনা ঘটেছে, গত ১৫ বছরেও তা ঘটেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এসব ধর্ম অবমাননার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ নভেম্বর ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে বিশ্বজিৎকে মারধরের পর পুলিশের কাছে তুলে দেন তিতুমীর কলেজের একদল শিক্ষার্থী। ওই দিনই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন একই কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদ সাব্বির।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘ফারিয়া আক্তার’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে গত ২২ নভেম্বর মহানবী (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি করা হয়। বাদী বিষয়টি অন্য শিক্ষার্থীদের জানান। একপর্যায়ে তাঁরা ওই আইডির ব্যবহারকারী হিসেবে বিশ্বজিৎকে শনাক্ত করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।