মদের বিষক্রিয়ায় তরুণ ও কিশোরীর মৃত্যু, ধারণা পুলিশের

পুলিশের ডেমরা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাস প্রথম আলোকে বলেন, কোনাপাড়ার মোতালেব চত্বরে বন্ধন এন্টারপ্রাইজ নামের রড–সিমেন্টের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। সকালে দোকানের গিয়ে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় পান। তিনি খবর দিলে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা মধুসূদন দাস বলেন, ওই দোকানের অফিসকক্ষে একটি বিয়ারের খালি ক্যান, কোকের বোতলে অল্প পরিমাণ হুইস্কি ও ভাজা মাছ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মদ পানের পর বিষক্রিয়ায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে আছে।

বন্ধন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শোভন হাসান প্রথম আলোকে বলেন, যে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের কাউকেই তিনি চেনেন না। সাজু দুই মাস ধরে তাঁর দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ নিয়েছেন। যতটুকু তিনি জানতে পেরেছেন, রাহিম নামের তরুণ সাজুর বন্ধু। রাহিম ও ওই কিশোরী সাজুর সঙ্গে রাতে দোকানের অফিসকক্ষে গিয়ে মদ পান করেছেন বলে তিনি ধারণা করছেন। সকালে দোকানে এসে দেখেন, সাটার খোলা। কিন্তু অফিসকক্ষটি ভেতর থেকে বন্ধ করা। ওই কক্ষের দরজা কাচের হওয়ায় বাইরে থেকে তিনজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে দরজা ভেঙে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এদিকে আজ দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে এসে তরুণ রাহিমের লাশ শনাক্ত করেন তাঁর বাবা রমজান আলী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রাহিম ২২ দিন আগে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে এসে একটি মাছের খামারে কাজ নেন। তাঁকে খামারে কাজ দিয়েছিলেন সাজুর এক আত্মীয়। পাশাপাশি গ্রামে বাড়ি হওয়ায় সাজুর সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় ছিল রাহিমের। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি দাউদকান্দি থেকে ঢাকায় এসেছেন।