শিশুটির বাবা মশিউর রহমান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছেলেকে প্রতিদিন সকালে মাদ্রাসায় দিয়ে আসতাম। আবার রাতে বাসায় নিয়ে আসতাম। গতকাল রাতে ছেলেকে আনতে মাদ্রাসায় যাই।

মাদ্রাসা থেকে জানানো হয়, আমার ছেলে টয়লেটে আত্মহত্যা করেছে। এতটুকু ছেলে কেন আত্মহত্যা করবে, বুঝতে পারছি না। শিক্ষকেরা কেউ তাকে মারধর করেনি বলে বলছেন। আবার পরিবার থেকেও আমরা তাকে কোনো বকাঝকা করিনি।’

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, শৌচাগারে এক শিশুশিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের। তারা বলছে, শিশুটি মাদ্রাসার শৌচাগারে গিয়ে আর বের হচ্ছিল না। পরে তারা শৌচাগারের দরজা ভেঙে ফেলে। শৌচাগারের ভেতরে শিশুটির নিথর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। গলায় বেল্ট লাগিয়ে শিশুটি আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের।

ওসি মঞ্জুর কাদের মজুমদার আরও বলেন, শিশুটির গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে। ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।