এমনই একটি ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সোমবার দিবাগত রাতে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের পানির পাম্পের দক্ষিণ পাশে অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপসহ তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে ডিবি কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই ডাকাত দলের প্রধান সুমন চৌকিদার। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, দস্যুতাসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে ১৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
পোশাকশ্রমিক ও দিনমজুরদের প্রলোভন দেখিয়ে সুমন দলে ভেড়াতেন বলে জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন। তিনি বলেন, ‘স্বল্প আয়ের এসব মানুষকে সুমন বলতেন, সারা মাস কাজ করে যে টাকা পাও, মাসে যদি এক দিন আমার সঙ্গে ডাকাতি করো এর চেয়ে বেশি টাকা আয় করতে পারবে। এভাবে প্রলোভন দেখিয়ে সদস্য সংগ্রহ করতেন তিনি।’
গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ বলেন, এই দলের সদস্যরা ডাকাতির সময় পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র (রামদা, চাপাতি) ব্যবহার করতেন। একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করতে গিয়ে বাধা পেয়ে সেখানকার এক কর্মচারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন সুমন।
সুমন চৌকিদার ছাড়া গ্রেপ্তার ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা হলেন মো. মোস্তফা (৩২), মো. আরিফ হোসেন (৩৪), মো. পলাশ (৩২), মো. করিম (২৫), মো. হাসান (১৮), রিপন ওরফে আকাশ (২৪), জয়নাল আবেদিন (৩১), মো. ওমর ফারুক ফয়সাল (২০), রাসেল (২৪), মো. হাফিজুল ইসলাম (৩৩)।
গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ছোরা, একটি রামদা, দুটি চাপাতি এবং পাঁচটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।