উড়ালসড়ক থেকে পড়ে তরুণীর মৃত্যু: হত্যা না আত্মহত্যা, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ

নিহত সাহিদা ইসলাম ওরফে মীমের এক বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে রমনা থানা পুলিশ।

রাজধানীর মালিবাগে উড়ালসড়ক থেকে নিচে পড়ে সাহিদা ইসলাম ওরফে মীমের (২১) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাটি হত্যা, আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাহিদা কীভাবে উড়ালসড়ক থেকে নিচে পড়লেন, সেটি তদন্ত করে বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ঘটনার সময় সাহিদার সঙ্গে তাঁর এক বন্ধু ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, সাহিদার বন্ধুকে এরই মধ্যে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত ৯টা পর্যন্ত সাহিদার ওই বন্ধুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। ওই বন্ধুর সঙ্গে সাহিদা রোববার রাত দেড়টার দিকে মোটরসাইকেলে করে মালিবাগ-মৌচাক উড়ালসড়কে গিয়েছিলেন। তবে সেখানে তাঁদের মধ্যে কী ঘটেছিল, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পরিবারের বরাত দিয়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, রোববার রাত আটটার দিকে এক বন্ধুর ফোন পেয়ে সাহিদা কফি খেতে বাসা থেকে বের হন। তারপর সাহিদা আর বাসায় ফেরেননি। পুলিশের ফোন পেয়ে পরিবার জানতে পারে, সাহিদার মৃত্যু হয়েছে।

শাহিদার পরিবার এ ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাত একজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের রমনা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সালমান ফার্সী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পরিবার বলছে, শাহিদাকে হত্যা করা হয়েছে। শুরু থেকেই ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। একজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে কি না, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত রোববার দিবাগত রাতে মালিবাগ-মৌচাক উড়ালসড়কের মৌচাক থেকে রামপুরা যেতে উড়ালসড়ক থেকে নিচে পড়ে সাহিদার মৃত্যু হয়। তাঁর বাবার নাম শেখ আবু সাঈদ, মা আজিমুন ইসলাম। সাহিদার বাবা বেঁচে নেই। রাজধানীর হাতিরঝিল থানা এলাকার ওমর আলী লেনে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন সাহিদা। তিনি পেশায় একজন নৃত্যশিল্পী।