ছিনতাই করে নালায় লাফ, ‘উদ্ধারে’ ফায়ার সার্ভিস

নালায় নেমে ছিনতাইকারীকে খুঁজছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাছবি: সৌরভ দাশ

চট্টগ্রাম নগরের জামালখান এলাকা। সেখানে একটি উন্মুক্ত নালার সামনে জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ৩০ থেকে ৪০ জন মানুষ। এর পাশে দাঁড় করানো রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি। সাধারণ দৃষ্টিতে মনে হতে পারে, নালায় পড়ে যাওয়া কোনো ব্যক্তিকে উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো সেখানে জড়ো হওয়া ব্যক্তিদের কথায়।

তাঁদের একজন জানালেন, নালায় ছিনতাইকারীকে খুঁজছে ফায়ার সার্ভিস। সামনে গিয়ে দেখাও গেল তাই। ফায়ার সার্ভিসের দুজন কর্মী নালায় নেমে একজন ছিনতাইকারীকে খুঁজছেন। তবে তখনো ছিনতাইকারীর খোঁজ পাননি তাঁরা। ‘উদ্ধার’ হলেই তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকের ঘটনা। নালার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন এক পথচারী নারী। তাঁর ব্যাগ টান দিয়ে নালায় লাফ দেন ছিনতাইকারী যুবক। এরপর নারীর চিৎকারে আশপাশের মানুষ জড়ো হন। ঘটনা শুনে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন উপস্থিত এক সাংবাদিক। পরে পুলিশের একটি দল এসে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।

কোতোয়ালি থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ সাজ্জাদ বলেন, খবর পেয়ে থানা থেকে ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিসকে জানান। তাঁরা খোঁজাখুঁজি করে নালায় কিছু খুঁজে পাননি।

পুলিশ জানায়, তারা খবর দেওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আসেন ঘটনাস্থলে। এর কিছুক্ষণ পরে ছিনতাইয়ের শিকার নারী ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। তিনি এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করেননি। তাই তাঁর পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। আর ছিনতাইকারীর ব্যাপারেও তথ্য পাওয়া যায়নি।

তবে ছিনতাইয়ের শিকার ওই নারী যদি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন, তাহলে এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় চন্দনপুরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রাহুল দেব নাথের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নালাটির ভেতরে গভীর দুটি সুড়ঙ্গপথ রয়েছে। এই পথ ধরেই সম্ভবত সে (ছিনতাইকারী) পালিয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রায় ২০ মিনিট ধরে খুঁজেও কিছু পাননি।