সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বিদেশ থেকে আমদানি করা প্রায় ১ লাখ ৮৪ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার সরবরাহ না করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে নরসিংদী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান (পোটন) ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের আরও চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল মঙ্গলবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন মেসার্স পোটন ট্রেডার্সের মহাব্যবস্থাপক মো. শাহাদত হোসেন, মো. নাজমুল আলম, উত্তরবঙ্গ প্রতিনিধি মো. সোহরাব হোসেন ও খুলনা-নওয়াপাড়া প্রতিনিধি মো. আতাউর রহমান।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আজ বুধবার সংস্থাটির উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

মামলার এজাহারে বলা হয়, কামরুল আশরাফ খানের মালিকানাধীন ‘মেসার্স পোটন ট্রেডার্স’ ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সঙ্গে ৮টি চুক্তির মাধ্যমে বেলারুশ, কানাডা, রাশিয়া ও মরক্কো থেকে আমদানি করা এমওপি, টিএসপি ও ডিএপি সার চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে পৌঁছে দেয়। তবে চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণের মধ্যে ১ লাখ ৮৪ হাজার মেট্রিক টন সার নির্ধারিত গুদামে সরবরাহ না করে আত্মসাৎ করা হয়। এর আনুমানিক বাজারমূল্য ১ হাজার ৮৪ কোটি ১ লাখ ৯ হাজার ৪১০ টাকা।

দুদকের অনুসন্ধান ও বিএডিসির তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সরবরাহ না করা সার ‘ট্রানজিটে রয়েছে’ মর্মে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণা করা হয়। ২০২২ সালের নভেম্বরে গঠিত এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে পুনর্গঠিত বিএডিসির তদন্ত কমিটি একই বছরের ২৬ মার্চ প্রতিবেদন দেয়। সেখানে বলা হয়, ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭১ মেট্রিক টন সার বিএডিসির গুদামে সরবরাহ করা হয়নি।

এর আগে ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর কামরুল আশরাফ খান পোটনসহ একই প্রতিষ্ঠানের পাঁচজনের বিরুদ্ধে ৫৮২ কোটি টাকার সরকারি সার সরবরাহ না করার অভিযোগে একটি মামলা করেছিল দুদক। ওই মামলার তদন্ত এখনো চলমান।