‘অজ্ঞাতনামার’ পরিচয় মিলল, গ্রেপ্তার হলেন সন্দেহভাজন খুনিও

আসামি পল্লব বর্মণ
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের পাহাড়তলির আবদুল নগরের নজির আহমেদের বাড়ির বন্ধ কক্ষ থেকে একজন নারীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল ১ এপ্রিল। লাশের দাফনও হয়েছিল বেওয়ারিশ হিসেবে। আজ রোববার ভোরে ওই নারীর হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

রোববার সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির চট্টগ্রাম বিভাগের উপমহাপরিদর্শক হাবিবুর রহমান ওই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানান। তিনি বলেন, মৃত্যুর ২৬ দিন পর পর্যন্ত ওই নারীর কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরে একটি আলামতের সূত্র ধরে ভুক্তভোগী নারীর বাবাকে শনাক্ত করা হয়। তাঁর বাবা মেয়ের পরনের কাপড় দেখে তাঁকে চিনতে পারেন। এ বিষয়ে পাহাড়তলি থানায় হত্যা মামলা করা হয়।

নারীর বাবা পুলিশকে জানান, গত ১৮ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় তাঁর ২৮ বছর বয়সী মেয়েকে ওই এলাকার পল্লব বর্মণ (৩৪) অপহরণ করে। তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় এ নিয়ে মামলাও করেন। ৯ মে ভোরে পল্লব বর্মণকে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পল্লব জানান, তিনি গত ২ মার্চ বিকেলে ওই নারীকে বেলের শরবতের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাওয়ান। তারপর টাকাপয়সা নিয়ে ঘরের বাইরে তালা দিয়ে পালিয়ে যান।

প্রথমে অপহরণ ও পরে হত্যাকাণ্ডের শিকার নারী ও পল্লব বর্মণ দুজনের বাড়িই গাজীপুরে।