অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যায় যুক্তিতর্ক শুনানি ৩১ জানুয়ারি

হুমায়ুন আজাদ
ফাইল ছবি

লেখক অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় ৩১ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মাকছুদা পারভীন এই দিন ধার্য করেন।

পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে।

আসামিপক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয় আজ রোববার। তবে মামলায় পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এখনো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেননি। ৩১ জানুয়ারি পলাতক আসামিদের পক্ষে তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন । তাঁর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে আদালত রায় ঘোষণার দিন ঠিক করবেন।

রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলিরা বলেছেন, বহুমাত্রিক লেখক অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পাঁচজন জড়িত ছিলেন। আসামিদের মধ্যে একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই মামলায় ৪১ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। সাক্ষীদের জবানবন্দি, মামলার আলামত এবং আসামির জবানবন্দির ভিত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তাই আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

মামলার নথিপত্র বলছে, ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদকে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। হুমায়ুন আজাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ২০০৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। বিদেশে উন্নত চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ওই বছরেরই ১১ আগস্ট জার্মানিতে তিনি মারা যান। এরপর হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা সংযুক্ত করার আবেদন জানান। আদালত তা মঞ্জুর করলে এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারি ৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা। ওই বছরই অভিযোগ গঠন করা হয়। এই মামলায় কারাগারে আটক আছেন দুই আসামি। তাঁরা হলেন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ও আনোয়ার আলম। পিপি সাইফুল ইসলাম জানান, এই মামলায় পলাতক আছেন আসামি সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ। মারা গেছেন আসামি হাফিজ মাহমুদ।