অনলাইনে সেক্স টয় ও যৌন উত্তেজকের ব্যবসা, গ্রেপ্তার ৬

অনলাইনে সেক্সটয় ও যৌন উত্তেজকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি
ছবি: সংগৃহীত

বছর দশেক আগেও মেহেদী হাসান ভূঁইয়া ওরফে সানি অনলাইনে পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মী ছিলেন। কয়েক বছর আগে চাকরি ছেড়ে বৈধ পণ্যের আড়ালে ‘সেক্স টয়’ ও যৌন উত্তেজক পণ্য আমদানির ব্যবসা শুরু করেছেন। আজ রোববার সিআইডি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা জানান, মেহেদীর নেতৃত্বাধীন পুরো চক্রটিকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।

অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক কামরুল আহসান বলেন, কলাবাগানে ও লেভেল পরীক্ষার্থীর ধর্ষণের পর মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেন, তার দেহে ‘ফরেন বডি’ প্রবেশ করানো হতে পারে। এরপরই সিআইডির সাইবার মনিটরিং এবং সাইবার ইনভেস্টিগেশন টিম এ সম্পর্কে খোঁজখবর করতে শুরু করে। উৎস খুঁজতে গিয়ে পুলিশ খবর পায়, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের সহযোগিতায় চক্রগুলো বৈধ পণ্যের আড়ালে অবৈধ পণ্য দেশে আনছে। অনুসন্ধানে তারা জানতে পারে, টিভিসি স্কাই শপ বিডি, স্কাই শপ বিডি, টিভিসি স্কাই শপ ও এশিয়ান স্কাই শপে নাম–পরিচয় গোপন রেখে কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে নিষিদ্ধ সেক্স টয় ও যৌন উদ্দীপক বিক্রির বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।

বিস্তারিত অনুসন্ধানের পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সাইবার ইনভেস্টগেশন টিমের একটি চৌকস দল পল্লবীর আলাদ্বীটেকের মধুমতি টাওয়ারের নিচ থেকে অলিভিয়া ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট থেকে রেজাউল আমিন হৃদয় (২৭), মীর হিসামউদ্দিন বায়েজিদ (৩৮), মো. সিয়াম আহমেদ ওরফে রবিন (২১), মো. ইউনুস আলী (৩০), আরজুল ইসলাম জিমকে (২২) বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ পণ্যসহ আটক করতে সক্ষম হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, এই চক্রের প্রধান মেহেদী হাসান ভূঁইয়া ওরফে সানি (২৮)। ওই রাতেই এই দুজনকে পল্লবী থানার বাইগারটেক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করা হয় ১২ লাখ টাকার পণ্য।

সিআইডি বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে।