অনশনের পর প্রেমিকের নামে ধর্ষণের মামলা তরুণীর

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থানের চার দিন পর এক তরুণী থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত যুবকের নানাকে শুক্রবার কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে যুবকের মা-নানাসহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা হয়।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ওই তরুণীর ‘প্রেমিক’ জসিম উদ্দিনকে (২৫)। বাকি ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম দুদু মিয়া (৬০)। ওই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শুক্রবার টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এর আগে গত সোমবার দুপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ওঠেন ওই তরুণী। এরপর বাড়িতে তালা দিয়ে তরুণীর প্রেমিক তাঁর মা, বোনসহ গা ঢাকা দেন। তবে তরুণী ওই বাড়িতে টানা দুদিন অনশন শেষে বুধবার তাঁর ঢাকার বাসায় ফেরেন। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে আবার প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন এবং সন্ধ্যার পর সখীপুর থানায় গিয়ে রাতে ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগ এনে ওই সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ রাতেই যুবকের নানা দুদু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।

সখীপুর থানা-পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জসিম উদ্দিন দুই বছর আগে মালদ্বীপে যান। সেখানে থাকা অবস্থায় ওই তরুণীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় জসিমের। এরপর দুজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ২৫ মে জসীম উদ্দিন দেশে ফিরে ঢাকায় ওই তরুণীর ভাড়া বাসায় ওঠেন। এরপর ঈদের আগের দিন সখীপুরের বাড়িতে আসার পর জসীম আর ঢাকায় ফেরত না গিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তবে তাঁদের মধ্যকার টানাপোড়েন নিয়ে গত সোমবার জসিমও সখীপুর থানায় ওই তরুণীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেখানে তিনি ওই তরুণীর হাত থেকে নিজের জীবনের নিরাপত্তা চান।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত বাউল বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই মেয়েকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই তরুণী অভিযোগ করেছেন, শুধু ঢাকায় নয় একবার ওই তরুণী জসিমের বাড়িতেও এসেছেন। সেখানেও তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।

সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ এইচ এম লুৎফুল কবির বলেন, প্রধান আসামি জসিমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।