অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ধর্ষণের মামলায় যুবক কারাগারে

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় আবদুর রহমান ওরফে সোহাগ (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সখিপুর থানা-পুলিশ ও ওই নারীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২২ বছর বয়সী ওই গৃহবধূর স্বামী নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি ভোলা জেলার বিভিন্ন নদীতে মাছ শিকার করেন। আর ওই নারী শিশু সন্তানকে ভেদরগঞ্জের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় ওই নারী একটি মোটরসাইকেল ভাড়া করে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে নিজেদের বাড়ি ফিরছিলেন। মোটরসাইকেল চালক আবদুর রহমান তাঁকে বাড়ি পৌঁছে না দিয়ে সখিপুরের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যান। শিশু সন্তানকে বেঁধে রেখে তাঁকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য ওই নারীকে হুমকি দেওয়া হয়। স্বামী বাড়ি ফিরলে ওই নারী তাঁকে ঘটনাটি জানান। বুধবার ওই নারী বাদী হয়ে সখিপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, বুধবারই সখিপুর এলাকা থেকে আবদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার শরীয়তপুর সরকারি হাসপাতালে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
ভুক্তভোগী ওই নারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার শিশু সন্তানকে আটকে রেখে ভয় দেখিয়ে আমার সর্বনাশ করেছে। আমি অন্তঃসত্ত্বা বলার পরও রেহাই পাইনি। স্বামী জানার পর আমাকে ভুল বুঝেছেন। পরিবারে আমি অসম্মানিত হচ্ছি।’
ওই নারীর স্বামী বলেন, ‘আবদুর রহমান আমাদের পূর্ব পরিচিত। এ কারণে আমার স্ত্রী তাঁর সঙ্গে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরতে ভরসা করেছিল। কিন্তু সে এমন সর্বনাশ করবে তা ভাবতেও পারছি না।’
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।