অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন

অভিজিৎ রায়
ফাইল ছবি

ব্লগার ও বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যার মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আজ বুধবার শেষ করেছে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গোলাম সারোয়ার খান মামলায় অভিযুক্ত সব আসামির মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন।

গোলাম সারোয়ার খান আদালতে বলেন, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২৮ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনজন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে পিপি তাঁর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করার পর আসামিপক্ষের এ বি এম খায়রুল ইসলাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। তবে আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান আজ বুধবার এই আদেশ দেন।

মামলার নথিপত্র বলছে, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে চাপাতির কোপে ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় নিহত হন। এ সময় তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ আহত হন। অভিজিৎ ও রাফিদা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে তাঁরা দেশে এসেছিলেন। মেলা থেকে বেরিয়ে বাসায় ফেরার পথে তাঁরা ওই হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এ মামলা তদন্ত করে। ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। অভিজিৎ হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন আরাফাত রহমান ওরফে শামস ওরফে সাজ্জাদ, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক ওরফে সোহেল ওরফে সাকিব, আকরাম হোসেন আবির ওরফে আদনান ও শফিউর রহমান ফারাবী। আসামিদের মধ্যে জিয়াউল ও আকরাম পলাতক। অন্যরা গ্রেপ্তার আছেন। তাঁদের বুধবার আদালতে হাজির করা হয়।

২০১৯ সালের ১ আগস্ট ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ওই বছরের ২৮ অক্টোবর নিহত অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায় আদালতে সাক্ষ্য দেন।