মতিঝিলে পথশিশুর গায়ে আগুন, দেহের ২৭ ভাগ পুড়ে গেছে

রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় ১০ বছর বয়সী এক পথশিশুর গায়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার বিকেলে শিশুটির গায়ে আগুন দেওয়া হয়। মাথা বাদে শিশুটির শরীরের নিচের অংশ আগুনে পুড়ে গেছে। শিশুটি শুধু নিজের নাম পুলিশকে বলতে পেরেছে। বাবা-মা কিংবা বাড়ির কোনো ঠিকানা, কিছুই জানাতে পারেনি।
ভুক্তভোগী শিশুটি বলছে, তার নাম সেলিম। তবে যারা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসে, তারা শিশুটির নাম নিবন্ধন করিয়েছেন শাহীন নামে।
বার্ন ইউনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, আগুনে পোড়া শিশুটির দেহের শতকরা ২৭ ভাগ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, আগুনে পোড়া শিশুটিকে বিকেল সাড়ে ৪টার পর একজন লোক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। ঠিক কোথায়, কী কারণে, কে শিশুটির গায়ে আগুন ধরায়, সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য এখনো জানতে পারেনি পুলিশ।
তবে মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ভুক্তভোগী আগুনে পোড়া শিশু সেলিমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। শিশুটি বলছে, অজ্ঞাত এক রিকশাওয়ালা তার গায়ে আগুন দিয়েছে। এর সত্যতা যাচাই করার জন্য কমলাপুর ও ফকিরাপুল এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। প্রত্যক্ষদর্শী খোঁজ পেলে আসল ঘটনা জানা সম্ভব হবে।
পুলিশ কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন জানান, শিশুটি নিজের নাম ছাড়া তার বাবা-মা কিংবা তার বাড়ির কোনো ঠিকানা জানাতে পারেনি। তবে শিশুটি কমলাপুর রেল স্টেশন এলাকায় থাকত। সে পথশিশু।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিশু সেলিম প্রথম আলোর ঢাকা মেডিকেল প্রতিনিধিকে বলেছে, তার গায়ে আগুন দিয়েছে এক রিকশাওয়ালা। ম্যাচের কাঠি দিয়ে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তবে যে লোক শিশু সেলিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে তার খোঁজ মেলেনি। বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক তরিকুল জানিয়েছেন, শিশুটির কাছে তার কোনো পরিচিত লোকজন কেউ নেই। শিশুটির রক্তের প্রয়োজন হতে পারে।