আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

রংপুরে আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে আসামি রিয়াদ প্রধানকে (২৪) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ওই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এক নারীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মোস্তফা পাভেল রায়হান এ রায় দেন। এ সময় অভিযুক্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এই আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মাফজিয়া হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার রায় ঘোষণার আগে এজলাসের বাইরে প্রজেক্টরের পর্দায় ৪৬ পৃষ্ঠার রায়ের কপি দেখানো হয়। এ সময় বাইরে উৎসুক মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের দিনমজুর শাজাহান আলীর মেয়ে তানজিলা খাতুন চুমকি স্থানীয় দুরামিঠিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ২০১৬ সালের ১৪ জুন বিকেলে বাড়ির সামনের আমবাগানে খেলছিল শিশু চুমকি। এ সময় প্রতিবেশী মমিন প্রধানের ছেলে রিয়াদ প্রধান আম খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিশুকে নিজ বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। ১৭ জুন সকালে ওই শিশুর বাবা শাজাহান আলী বাদী হয়ে রিয়াদ প্রধান ও তাঁর বাড়ির গৃহকর্মী ধলি বেগমকে আসামি করে পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই দিন পীরগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রিয়াদ প্রধানের বাড়ির খাটের নিচ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। রিয়াদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার পর গৃহকর্মী ধলি বেগম পালিয়ে থাকলেও বেশ কিছুদিন পর ঢাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এপিপি মাফজিয়া হাসান বলেন, ঘটনার তদন্ত শেষে ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পীরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজির হোসেন। চার বছর বিচারাধীন থাকার পর ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।