আমগাছে ঝুলে ছিল নারীর লাশ, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় শাহনাজ আক্তার (২২) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে উপজেলার নেত্রাবর্তী গ্রামে রব শেখ নামের এক ব্যক্তির বাড়ির পাশে একটি আমগাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা লাশটি উদ্ধার করা হয়। তাঁর স্বজনদের দাবি, শাহনাজ আক্তারকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে ওই গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন।

স্থানীয়রা বলেন, শাহনাজ আক্তারের গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুরের কোয়ারপুর এলাকার। তাঁর বাবার নাম শামসু শেখ। আজ ভোরে নেত্রাবর্তী এলাকার আবু তালুকদার নামে এক ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় আমগাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই নারীর লাশ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে সকালে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর শাহনাজের স্বামী রাসেল দেওয়ান পলাতক আছেন।

শাহানাজের বড় বোন সুবর্ণা বেগম অভিযোগ করেন, তাঁর বোনের সঙ্গে নেত্রাবর্তী গ্রামের মুজিবুর দেওয়ানের ছেলে রাসেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। রাসেল আগেও একবার বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে শাহনাজকে বিয়ে করেন রাসেল। এ নিয়ে স্বামী-শাশুড়ির সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়াবিবাদ হতো শাহনাজের। রাসেলের প্রথম স্ত্রী ও মা শাহনাজকে স্বামীর বাড়িতে থাকতে দেননি। তাই শাহনাজ ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। তিন মাস আগে শ্বশুরবাড়ি নেত্রাবর্তী গ্রামে ফিরে আসেন শাহনাজ। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি গেলে শাহানাজকে তাঁর শাশুড়ি পিটিয়ে তাড়িয়ে দেন। পরে গতকাল বুধবার আবারও তিনি শ্বশুরবাড়ি যান। সেখানে শাহনাজকে তাঁর স্বামী, শাশুড়িরা হত্যা করে লাশ আমগাছে ঝুলিয়ে রাখেন।

টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম রসুল প্রথম আলোকে বলেন, স্বামীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে মেয়েটির বনিবনা হচ্ছিল না। তিনি স্বামীর খোঁজে শ্বশুরবাড়ি এসেছিলেন। প্রাথমিকভাবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।