চুরির জন্য ইউএনওর ওপর হামলা বিশ্বাসযোগ্য হয়নি

ইউএনও ওয়াহিদা খানম
ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার পেছনে চুরির ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। হামলার কারণ কী, কারা এর সঙ্গে জড়িত এবং গডফাদার কে, তা খুঁজে বের করার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক হয়।

মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ইউএনওর বাসায় চুরির ঘটনা মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। কী কারণে তাঁর ওপর হামলা হয়েছে, তা আরও তদন্তের জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছি।’

আ ক ম মোজাম্মেল হক আরও বলেন, ইতিমধ্যে ইউএনওদের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন থেকে পুরো উপজেলা কমপ্লেক্স সিসিটিভির আওতায় আনা হবে। সেখানে সারা রাত পাহারাদার থাকবেন।
গত বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ভেন্টিলেটর ভেঙে সরকারি বাসায় ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা করা হয়। তাঁরা দুজনই গুরুতর আহত হয়ে এখন চিকিৎসাধীন।

আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, কক্সবাজারে থাকা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁদের কার্যক্রমের নজরদারি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী মোজাম্মেল হক আরও জানান, বর্তমানে দেশে ৭০০-এর মতো বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বসবাস করছেন। কীভাবে তাঁদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যায়, সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। লাইসেন্সবিহীন টিভি, অনলাইন রেডিও বন্ধ করার জন্য বিটিআরসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সব গোয়েন্দার সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হবে।