উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ, দুই ছাত্রকে ছুরিকাঘাত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরে স্কুলছাত্রীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় দুই সহপাঠীকে কুপিয়ে আহত করেছে বখাটেরা। আজ সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার সিদ্ধিখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বখাটেদের ব্যবহৃত একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়।

আহত দুই শিক্ষার্থী হলো শফিকুল ইসলাম ও আরমান ব্যাপারী। উত্ত্যক্তের শিকার ও আহত শিক্ষার্থীরা অ্যাডভোকেট দলিলউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পুলিশ অটোরিকশাটি জব্দ করেছে।

স্কুলশিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, বেলা একটার দিকে শ্রেণি পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। মাঝপথে সিদ্ধিখোলায় পৌঁছালে অটোরিকশায় করে ঝিকরহাটি এলাকার ‘বখাটে’ রনি ও আশিক তার বন্ধুদের নিয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এ সময় সহপাঠীরা বাধা দিলে বখাটেদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে বখাটেরা ছুরি দিয়ে ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র শফিকুল ইসলাম ও আরমান ব্যাপারীকে কুপিয়ে আহত করে। পরে আশপাশের লোকজন এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। আহত দুই শিক্ষার্থী মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরে।

অ্যাডভোকেট দলিলউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হ্যাপী আক্তার বলেন, ‘এই বখাটেরা প্রায়ই ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার। এই দলে রনি, রানা, আশিক, জাহিদ, জুবরান, রাজীবসহ বেশ কয়েকজন রয়েছে বলে আহত শিক্ষার্থীরা আমাদের অবহিত করেছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, রনি, আশিকসহ বেশ কয়েকজন কিশোর প্রায়ই মোটরসাইকেল নিয়ে স্কুলের আশপাশে মহড়া দেয়। ছাত্রীদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে। এমনকি ওদের কথা কোনো শিক্ষার্থী না শুনলে তাকে মারধর করে। ছাত্রীদের হুমকি দেয়।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাওগাতুল আলম বলেন, ‘ঘটনাস্থল স্কুল থেকে এক-দেড় কিলোমিটার দূরে। স্কুলের সঙ্গে এ ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। কিশোরদের মধ্যে ব্যক্তিগত বিরোধের কারণেই এ হামলা ঘটতে পারে। তা ছাড়া এখানে মেয়েদের সঙ্গে প্রেমঘটিত বিষয়ও রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি, প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথাও বলেছি। স্কুলের পক্ষ থেকে তারা এখনো আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে বখাটেদের ধরতে থানার পুলিশের তিনটি দল কাজ করছে। এ ঘটনায় ব্যবহৃত একটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে।’