এসআই আকবর যেন পালাতে না পারেন, ইমিগ্রেশনে চিঠি

সিলেটের কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়ির সাময়িক বরখাস্ত ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

সিলেটের কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়ির সাময়িক বরখাস্ত ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া যেন কোনোভাবেই দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন, সে জন্য ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই ফাঁড়িতে পুলিশি হেফাজতে রায়হান আহমদের (৩৪) মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে আকবরকে খুবই দরকার পিবিআইয়ের। তিনি বর্তমানে পলাতক।
মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।

আরও পড়ুন

বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘সিলেটের ঘটনার কেস ডকেট (নথিপত্র) আমরা গত পরশু দিন (গত মঙ্গলবার) রাতে পেয়েছি। ঘটনাস্থলে সিলেটের পিবিআই টিম তিন থেকে চার ঘণ্টা ছিল। আমরা তদন্ত শুরু করে দিয়েছি। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের মনে হয়েছে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপপরিদর্শক আকবরকে আমাদের দরকার। সমগ্র ইমিগ্রেশনে আমরা জানিয়ে দিয়েছি, আকবর যেন কোনোমতেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও সীমান্তের বিভিন্ন ইমিগ্রেশন সেন্টারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আকবর যেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে। তাকে ধরার জন্য আমরা টিম রেডি করেছি। তাকে আমাদের খুবই দরকার।’

ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার আরও বলেন, ‘আকবর যেহেতু এই অপকর্ম করে বাহিনীর সুনাম নষ্ট করেছে এবং সে আমাদের কথা চিন্তা করে নাই, সুতরাং তার বিষয়ে কোনো চিন্তা করার সুযোগ নেই।’

গত শনিবার মধ্যরাতে রায়হানকে তুলে নিয়ে কোতোয়ালি থানাধীন বন্দরবাজার ফাঁড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করে তাঁর পরিবার। সকালে তিনি মারা যান। নির্যাতনের সময় এক পুলিশের মুঠোফোন থেকে রায়হানের পরিবারের কাছে কল করে টাকা চাওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা সকালে ফাঁড়ি থেকে হাসপাতালে গিয়ে রায়হানের লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনার শুরুতে ওই ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ছিনতাইকারী সন্দেহে নগরের কাস্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে রায়হান নিহত হয়েছেন বলে প্রচার চালায়। কিন্তু গণপিটুনির স্থান হিসেবে যেখানকার কথা বলেছিল পুলিশ, সেখানে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্থাপন করা ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় এমন কোনো দৃশ্য দেখা যায়নি।

১০ হাজার টাকার জন্যই কি এমন ঘটনা ঘটেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পিবিআইয়ের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, তারা তদন্ত করে দেখছেন। একদিনেই সবকিছু বলা যাবে না।

নিহত রায়হান উদ্দিনের মরদেহ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য আজ কবর থেকে তোলা হয়েছে। পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন