কক্সবাজারে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত

বন্দুকযুদ্ধ
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের উখিয়া সংলগ্ন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে মাদক চোরাকারবারিদের ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম আদহাম। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের দক্ষিণ বাইশফাঁড়ি মক্করটিলা সীমান্তে আজ বুধবার ভোরে এই ঘটনা ঘটেছে।

আদহাম নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমঘুম সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দা। ঘটনাস্থল থেকে বিজিবি ৪০ হাজার ইয়াবা ও একটি দেশীয় এক নলা বন্দুক ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান নাইক্ষ্যংছড়িতে ঢুকছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির দুটি দল সীমানার কাছে অবস্থান নেয়। ভোররাত পৌনে চারটার দিকে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল মিয়ানমার থেকে পাহাড়ি পথে বাংলাদেশের দিকে আসতে থাকেন। এ সময় বিজিবি তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তাঁরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে মাদক চোরাকারবারিরা পাহাড়ি জঙ্গল দিয়ে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যান। এ সময় বিজিবির টহল দল ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন। ঘটনাস্থলে ৪০ হাজার ইয়াবা, একনলা বন্দুক ও গুলি পাওয়া যায়।

বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত ব্যক্তি নিজের পরিচয় জানিয়ে বলেন, তাঁর নাম আদহাম (২৩)। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম আবুল হাশেম।

বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় বিজিবির দুজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁদের উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বিজিবি সূত্র জানায়, কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে ৯ মাসে সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৬৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকার মূল্যের প্রায় ২২ লাখ ইয়াবাসহ ১৭৩ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৪ মে থেকে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়। সেই থেকে গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত ‘গোলাগুলিতে’ চারজন নারীসহ শুধু কক্সবাজার জেলায় ২৭২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই নারীসহ ১০৪ জন রোহিঙ্গা আছেন। এই সময়ে ৫৫ লাখ ৬১ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। শুধুমাত্র টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছেন ১৬১ জন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ জনকে।