গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ চকবড়হর গ্রামে গত বুধবার এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে নিখোঁজের এক দিন পর এক জেএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ চকবড়হর গ্রামের রোজিনা আক্তার (৪০)। এ সময় দুর্বৃত্তদের অস্ত্রের আঘাতে আহত হন তাঁর স্বামী সিদ্দিক শেখ ও ছেলে সুমন হোসেন (২২)। অন্যজন হলো নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশীপুর এলাকার জেএসসি পরীক্ষার্থী আরাফাত (১৫)।
নিহত গৃহবধূর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চকবড়হর গ্রামে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সিদ্দিক শেখের বাড়িতে হামলা চালায়। টের পেয়ে সিদ্দিক শেখ হামলাকারীদের বাধা দেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর ও কোপাতে থাকে। তাঁকে রক্ষা করতে স্ত্রী রোজিনা এবং ছেলে সুমন এগিয়ে এলে তাঁদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই রোজিনা মারা যান। তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন সিদ্দিক ও সুমনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
কাপাসিয়া থানার ওসি আহসান উল্লাহ জানান, ওই হত্যাকাণ্ড ও হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সিদ্দিক শেখের বড় ছেলের স্ত্রী, তাঁর মা ও তিন যুবককে আটক করা হয়েছে। হামলাকারীদের ভাড়া করে এনে ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বুধবার দুপুরে আরাফাত জেএসসি পরীক্ষা শেষে ট্রলারে করে ধলেশ্বরী নদী পার হচ্ছিল। পরে তীরের কাছাকাছি এলে ট্রলার থেকে নামতে গিয়ে পানিতে পড়ে ডুবে যায়। গতকাল দুপুরে ডুবুরিরা সদর উপজেলার ডিক্রির চর খেয়াঘাট এলাকা থেকে আরাফাতের লাশ উদ্ধার করেন। আরাফাত ফতুল্লার কাশীপুর এলাকার মোক্তার হোসেনের ছেলে।