কিশোরগঞ্জে আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২ মামলা, গ্রেপ্তার ৩

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।প্রথম আলো ফাইল ছবি

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের কোন্দলের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে মামলা দুটি করা হয়। এক মামলায় প্রধান আসামি অপসারিত উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। আরেক মামলায় আসামি ২০০ জন। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর মধ্যে শনিবার রাতে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় একটি এবং রোববার দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় ইউএনও অফিসের অফিস সহায়ক হাবিবুর রহমানের আহত হওয়ার ঘটনায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।

দুটি মামলার মধ্যে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অপসারিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রয়েল পরিবহনের মালিক মো. শরীফ মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এই মামলায় মোশারফ, মতিউর রহমান ও আল আমিন নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে রোববার দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় ইউএনও অফিসের অফিস সহায়ক হাবিবুর রহমানের আহত হওয়ার ঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুর রহমান দুটি মামলা দায়েরের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড়ার ঘটনা ঘটে।
প্রথম আলো ফাইল ছবি

রোববার দলীয় কোন্দলের জের ধরে পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও বহিষ্কৃত উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এবং কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনের সাংসদ নূর মোহাম্মদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।