কুষ্টিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিরাপত্তাকর্মী নিহত

লাশ
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফরিদ উদ্দীন ফারাজী (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাতটার দিকে গ্রামের মাদ্রাসাপাড়া মোড়ে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।

নিহত ফরিদের বাড়ি ভবানীপুরে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি একটি কারখানার নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন।

সংঘর্ষে আহত মান্নান ফারাজী প্রথম আলোকে বলেন, সংঘর্ষের সময় তিনি ও তাঁর চাচাতো ভাই ফরিদ একসঙ্গেই ছিলেন। হঠাৎ করে ১৫ থেকে ২০ জন রামদা নিয়ে ফরিদের মাথায় কোপ দেন। ঘটনাস্থলেই ফরিদ মাটিতে পড়ে অচেতন হয়ে যান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, ভবানীপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে সেখানে একটি পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মৌসুমি ব্যবসায়ী রেজা মণ্ডল। আরেক পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন গরু ব্যবসায়ী লাবু শকাতি। নিহত ফরিদ লাবু শকাতি পক্ষের।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুই দিন আগে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে লাবু শকাতির এক সমর্থকের ওপর বাজারে হামলা চালানো হয়। তাঁকে মারধর করা হয়। এ নিয়ে গত দুই দিন ধরে এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় লাঠিসোঁটা ও অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ফরিদ হোসেনকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া সংঘর্ষে আহত ১০ জনকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

সংঘর্ষে আহত মান্নান ফারাজী প্রথম আলোকে বলেন, সংঘর্ষের সময় তিনি ও তাঁর চাচাতো ভাই ফরিদ একসঙ্গেই ছিলেন। হঠাৎ করে ১৫ থেকে ২০ জন রামদা নিয়ে ফরিদের মাথায় কোপ দেন। ঘটনাস্থলেই ফরিদ মাটিতে পড়ে অচেতন হয়ে যান।

ঘটনাস্থল থেকে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সংঘর্ষের সময় কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। উভয় পক্ষের চারজনকে আটক করা হয়েছে। এখনো অভিযান চলছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হবে।