কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর জেলার সবগুলো ভাস্কর্যে অতিরিক্ত পুলিশি নজরদারি শুরু হয়েছে
প্রথম আলো

কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর চালিয়েছে। এতে ভাস্কর্যের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। রাত দুইটার দিকে দুজনকে দেখা যাচ্ছে তারা ভাস্কর্য ভাঙচুর করছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। অচিরেই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

জানতে চাইলে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় এ ধরনের নোংরা কাজ কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। যারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে এবং মদদ দিয়েছে, তাদের প্রত্যেককে কঠিন শাস্তি পেতে হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যে পুলিশকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

কুষ্টিয়া পৌরসভা সূত্র জানায়, নভেম্বর মাসে পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর তিনটি ভাস্কর্য করার সিদ্ধান্ত হয়। পাঁচ রাস্তার মোড়ে অনেক আগে তৈরি করা শাপলার ভাস্কর্য ভেঙে সেখানে তিনটি প্রধান সড়কের দিকে মুখ করে তিনটি ভাস্কর্য করা হচ্ছে। নিচের দিকে জাতীয় চার নেতার মুর‌্যাল থাকবে। দরপত্রের মাধ্যমে যশোরের একজন ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীম কার্যাদেশ পান। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। ১৭ নভেম্বর থেকে কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে মজমপুরের দিকে মুখ করে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ দেওয়ার একটি ভাস্কর্য তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু গতকাল শুক্রবার রাতে কে বা কারা ভাস্কর্যের বিভিন্ন অংশ ভেঙে ফেলে।

কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী বলেন, ধারণা করা হচ্ছে যারা আওয়ামী লীগের বিরোধী, বঙ্গবন্ধুকে যারা মানতে পারে না; তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হচ্ছে।

এদিকে এ ঘটনার পর জেলার সবগুলো ভাস্কর্যে অতিরিক্ত নজরদারি শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, কালেক্টরেট চত্বরসহ জেলায় যতগুলো ভাস্কর্য আছে সবগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নজরদারি বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ইউএনওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।