খাগড়াছড়িতে গভীর রাতে এলোপাতাড়ি গুলি, নারী নিহত

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বাবুছড়া এলাকায় গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে মোর্শেদা বেগম (৪০) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাঁর ছেলে মো. আহাদ (১০) আহত হয়েছে।

নিহত মোর্শেদা সোনা মিয়া টিলা ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি আবদুল মালেকের স্ত্রী। পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ইউপিডিএফ (প্রসীত খীসা) পক্ষকে দায়ী করেছে। ইউপিডিএফ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে।

পুলিশ ও নিহত মোর্শেদার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বাবুছড়া গুচ্ছগ্রামে গতকাল দিবাগত রাত দেড়টায় সোনা মিয়া টিলা ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি আবদুল মালেকের বাড়িতে ব্রাশফায়ার করা হয়। এ সময় আবদুল মালেকের স্ত্রী গুলিবিদ্ধ হন, তাঁর ছেলে মো. আহাদ সামান্য আহত হয়। এ সময় দুর্বৃত্তরা পার্শ্ববর্তী আরও দুটি বসতবাড়িতে ব্রাশফায়ার করে। তবে অন্য দুটি বাড়ির লোকজন শুয়ে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। দুর্বৃত্তরা ব্রাশফায়ার করে চলে যাওয়ার পর আত্মীয়স্বজনেরা গুলিবিদ্ধ মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে মোর্শেদাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মোর্শেদার ভাশুরের ছেলে মো. রহুল আমিন (৩০) বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা ব্রাশফায়ার করে চলে যাওয়ার পর বাড়ির লোকজনের চিৎকার শুনে আমরা ছুটে আসি। দেখি, চাচি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আমরা দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমার চাচাতো ভাই আহাদ সামান্য আহত হয়েছে। তার বাঁ কানের পাশ দিয়ে সামান্য গুলির আঘাত লেগেছে।’

গতকাল রাতে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা সুগত চাকমা বলেন, গতকাল রাতে মোশের্দা বেগমকে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান। তিনি পিঠের বাঁ পাশে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁর ছেলে আহাদ বাঁ কানে সামান্য গুলির আঘাত পাওয়ায় তাকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব বলেন, মোর্শেদার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।