খাগড়াছড়িতে যুব সমিতির সদস্যকে গুলি করে হত্যা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খাগড়াছড়ির পানছড়ি জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) গ্রুপের যুব সমিতির সদস্য রনি ত্রিপুরাকে (৩০) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পানছড়ি বাজারের শুকতারা হোটেলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রনি ত্রিপুরা পানছড়ির উল্টাছড়ি ইউনিয়নের মরাটিলা এলাকার বাসিন্দা নলেন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে।

এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে জেএসএস (এমএন লারমা)। তবে ইউপিডিএফ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এ নিয়ে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় গত বছরের নভেম্বরের পর থেকে ৪৯ জন নিহত হলেন। সর্বশেষ গত সোমবার রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় রাইখালী ইউনিয়নের কারিগরপাড়ায় জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) মংসানু মারমা (৪০) ও জাহিদুল ইসলাম (৩২) নামে একজন ট্রাকচালক নিহত হন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একজন অস্ত্রধারী লোক হোটেলে ঢুকে খুব কাছ থেকে রনি ত্রিপুরাকে গুলি চালায়। অস্ত্রধারী গুলি চালিয়ে মাছ বাজারের দিকে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাঁকে উদ্বার করে পানছড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পানছড়ি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক বছর ধরে পানছড়ি বাজারে শুকতারা হোটেলে রয়েছেন জেএসএস (এমএন লারমা) দলের সদস্যরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপিডিএফ গত বছরের ২১ মে থেকে পাহাড়িদের সাপ্তাহিক বাজারে আসতে দিচ্ছে না। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।

পানছড়ি থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ দুলাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ইউপিডিএফ এ হত্যা ঘটিয়ে থাকতে পারে। লাশ শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে এখনো কেউ মামলা করেনি।

জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, রনি ত্রিপুরা দলের যুব সমিতির সদস্য। তাঁর অভিযোগ, প্রসিত খীসাপন্থী ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করেছে।

ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক মাইকেল চাকমা সাংবাদিকদের বলেন, এমন অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটি ইউপিডিএফের নামে অপপ্রচার। এ ঘটনা জেএসএসের (এমএন লারমা) দলীয় কোন্দলে হতে পারে।