খাসি-মুরগি জবাই হলো, বিয়ে আর হলো না

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত করা হয়েছে আগেই। তাঁদের আপ্যায়নের জন্য জবাই করা হয়েছে ২টি খাসি, ৫০টি মুরগি। কিন্তু যে জন্য এত আয়োজন, সেই বিয়েই আর হয়নি। মেয়ের বয়স কম হওয়ায় বিয়েটি বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের একটি গ্রামে। বেলা দুইটার দিকে এ বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসানের নির্দেশে বিয়েটি বন্ধ করা হয়।

জানতে চাইলে ইউএনও মো. মুনতাসির হাসান বলেন, বাল্যবিবাহ অপরাধ। ইউপি চেয়ারম্যান, ওসি ও সাংবাদিকসহ সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় মেয়েটি বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। এ ধরনের বিয়ে বন্ধে প্রশাসন সব সময় তৎপর রয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি নবম শ্রেণিতে পড়ে। একই ইউনিয়নের এক ওষুধ ব্যবসায়ী তরুণের (২৪) সঙ্গে ঈদের পরদিন মেয়েটির বিয়ে ঠিক করা ছিল। এ উপলক্ষে মানুষজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আপ্যায়নের জন্য ২টি খাসি ও ৫০টি মুরগি জবাই করা হয়। স্থানীয় একজনের কাছ থেকে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ খবর পান ইউএনও। তিনি বিয়েটি বন্ধ করতে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ ও ধরমপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেনকে বিয়েটি বন্ধ করতে বলেন।

ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ বলেন, বাল্যবিবাহের খবর তাঁদের আগে জানা ছিল না। ইউএনওর ফোন পেয়ে মেয়েটির বাবার সঙ্গে কথা বলে বিয়ে বন্ধ করতে বলেন তাঁরা। মেয়েটির বাবা মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

মেয়েটির বাবা বলেন, ‘মাইয়ার ১৮ বছর না অওয়ায় কাজী সাব এই বিয়া পড়াইতাইন না কইছইন। চেয়ারম্যান সাব ও থানা থাইক্যাও বিয়া না দেওয়ার লাইগ্যা নিষেধ আইছে। না বুইজ্জা ভুল করছিলাম। অহন ১৮ বছর না অইলে মাইয়ারে বিয়া দিতাম না।’