ক্ষীরার খেসারতে প্রাণ গেল বাবার

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

আত্মীয়ের খেত থেকে ক্ষীরা খেয়েছিল আট বছরের শিশু সানি। এ নিয়ে তর্কাতর্কি, গালিগালাজ। শেষমেশ বিতণ্ডার জের ধরে প্রাণই গেল তার বাবা চান মিয়ার (৪৬)। ধারালো সুলফির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রাণহানির ঘটনাটি আজ বুধবার সকাল নয়টায় সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর গ্রামে ঘটেছে।

এ ঘটনায় পুলিশ নিহত চান মিয়ার চাচা সফিক মিয়াকে (৪০) আটক করেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সুলফিসহ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন বলেন, মুরাদপুর গ্রামের হবিুবর রহমানের ক্ষীরাখেতে থেকে আজ সকালে কয়েকটি ক্ষীরা খেয়ে ফেলে চান মিয়ার ছেলে সানি। চান মিয়া সম্পর্কে হাবিবুর রহমানের আপন ভাতিজা। পরে হাবিবুর ও তাঁর ছেলে পাভেলসহ কয়েকজন চান মিয়ার বাড়িতে গিয়ে এ নিয়ে তাঁকে গালিগালাজ করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে হাবিবুর রহমানের পক্ষের এক লোক সুলফি দিয়ে চান মিয়ার বুকে আঘাত করেন। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়।

শিমুলবাক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। যাদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছেম তারা আত্মীয়। বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা করা যেত। কিন্তু আমরা সেই সুযোগ পাইনি।’

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ একজনকে আটক করেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সুলফিসহ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র জব্দ করেছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।