গৃহবধূকে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ

দিনাজপুরের খানসামায় এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী নির্যাতন করে হত্যার পর বিষয়টিকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পুলিশ আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শারমিন আকতার (২১) নামের ওই গৃহবধূর লাশ তাঁর স্বামী আখতার হোসেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে আখতার পলাতক রয়েছেন।

শারমিনের বড় বোন গোলাপী বেগম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, আড়াই বছর আগে শারমিনের সঙ্গে খানসামা উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের বলাপাড়া গ্রামের আখতারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আখতার যৌতুক বাবদ ১ লাখ ৫ হাজার টাকা নেন। বিয়ের পর আখতার আরও যৌতুকের জন্য শারমিনকে নির্যাতন করতে থাকেন।

শারমিনের স্বজনদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শারমিনকে নির্যাতন করে হত্যার পর তাঁর লাশ ঘরের কড়িকাঠের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন আখতার। আজ শুক্রবার ভোরে আখতার ফোন করে জানান, শারমিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বড় বোন গোলাপী বেগম বলেন, খবর পেয়ে তিনি (গোলাপী) তাঁর মেয়ে বিউটিকে আজ সকালে আখতারের বাড়িতে পাঠান। সেখানে গিয়ে বিউটি দেখতে পায়, বাড়িতে কেউ নেই। ওড়না দিয়ে ঘরের কড়িকাঠের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় নিথর শারমিন মেঝেতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।

গোলাপী বেগমের ভাষ্য, শারমিনের ওপর আখতারের নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে এ নিয়ে তাঁরা ব্লাস্টে অভিযোগ দেন। সেখানে আখতার লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন, তিনি শারমিনকে আর নির্যাতন করবেন না। কিন্তু তারপরও শারমিনের ওপর নির্যাতন চলে। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে হত্যার পর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

আখতারের বাবা আফছার আলীর ভাষ্য, ঘটনার সময় আখতার দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে ছিলেন। সকালে আখতারের ঘরের জানালা দিয়ে শারমিনকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখা যায়।

লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা খানসামা থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) চিত্তরঞ্জন রায় প্রথম আলোকে বলেন, গলায় ফাঁস দেওয়া থাকলেও নিথর শারমিন মাটিতে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিলেন। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। এ ঘটনায় মামলা হবে।