গ্রেপ্তারের পর পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' আসামি নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যাসহ ১৬ মামলার আসামি মো. মনির ওরফে কসাই মনির (৪০) নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার হাটপুকুরিয়া ইউনিয়নের ধর্মপুর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, নিহত মনিরের বাড়ি উপজেলার পরকোট গ্রামে। তাঁর বিরুদ্ধে চাটখিল থানায় হত্যা, ডাকাতি, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১৬টি মামলা আছে। গতকাল রাতেই লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের দাবি, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের কর্মকর্তাসহ তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁদের চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলামের ভাষ্য, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাত নয়টার দিকে পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ এলাকা থেকে মনিরকে গ্রেপ্তার করে চাটখিল থানা-পুলিশের একটি দল। গ্রেপ্তারের পর তাঁর স্বীকারোক্তি অনুসারে পুলিশের দলটি তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে রাত ১২টার দিকে ধর্মপুর এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় মনিরের সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের ওপর গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে সহযোগীরা পালিয়ে যান।

ওসি আনোয়ারুল বলেন, দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় সহযোগীদের ছোড়া গুলিতে মনির গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শহিদুল আহমেদ আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে পুলিশ মৃত অবস্থায় মনির নামের এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে পুলিশ লাশটি নিয়ে যায়।

ওসি আনোয়ারুল ইসলাম দাবি করেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, একটি ধারালো ধামা ও ৫০টি ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

থানা সূত্র জানায়, মনিরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।