ঘুষ লেনদেন: মিজান-বাছিরের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ২৩ ফেব্রুয়ারি

ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদকের পরিচালক এনামুল বাছির
ফাইল ছবি

ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ও বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই তারিখ ধার্য করেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন মোশাররফ হোসেন।

৬ ফেব্রুয়ারি খন্দকার এনামুল বাছিরের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু করেন তাঁর আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান। তবে সেদিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার পুনরায় যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ঠিক করেন। বাছিরের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে আদালত রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন।

এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি দুদকের পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন। সেদিন তিনি আদালতের কাছে দুই আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।

আজকের শুনানিতে মিজানুর ও বাছিরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এ মামলায় গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মামলায় ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনকে আদালতে হাজির করা হয়।
দুদকের মামলা থেকে বাঁচিয়ে দিতে তৎকালীন ডিআইজি মিজানুরের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয় এনামুলের বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুজনের বিরুদ্ধেই মামলা করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা।

তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি মিজানুর ও বাছিরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে একই বছরের ১৮ মার্চ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ২০২০ সালের ১৯ আগস্ট মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, এনামুল কমিশনের দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তিনি মিজানুরকে অবৈধ সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাঁর কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন। তিনি ঘুষের ওই টাকার অবস্থান গোপন করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন।