চট্টগ্রামে কারাগারে বন্দী নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে পিবিআই

পিবিআই

কারাগারে আটক এক বন্দীকে বৈদ্যুতিক শক ও বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে নির্যাতনের অভিযোগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়কসহ চারজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে মামলাটি করেন নগরের পাহাড়তলীর বাসিন্দা ঝর্ণা রানী দেবনাথ। মামলায় জেল সুপার, জেলার, কারা হাসপাতালের চিকিৎসক ও রতন ভট্টাচার্য নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

বাদীর আইনজীবী ভুলন লাল ভৌমিক প্রথম আলোকে বলেন, আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর লেনদেন-সংক্রান্ত একটি মামলায় কারাগারে যান রূপম কান্তি নাথ। এরপর থেকে রূপমের পূর্বপরিচিত রতন ভট্টাচার্য নামের এক ব্যক্তি কারাগারের কর্মকর্তা ও কারা হাসপাতালের চিকিৎসকের মাধ্যমে রূপমকে নির্যাতন করে আসছেন।

অসুস্থ রূপম কান্তি নাথ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর মুখে ও অণ্ডকোষে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি জানার পর আদালতে আবেদন করা হয়। ইতিমধ্যে আসামিরা রূপমকে কারা হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে আসামিরা আলামত লুকানোর চেষ্টা করেন। বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালক বরাবর জানানো হয়েছে। নির্যাতন করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয় মামলায়।

জানতে চাইলে নির্যাতন করার অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অসুস্থ হওয়ার পর কারা হাসপাতালে ও চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয় ওই বন্দীকে। তাঁকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি।’

এদিকে গতকাল বুধবার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বন্দী রুপম কান্তি নাথের জামিন মঞ্জুর করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার আদালত তা বাতিল করে দেন।

এর আগে গত সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে একই অভিযোগে মামলাটি করেছিলেন রুপমের স্ত্রী ঝর্ণা। তবে এটি গ্রহণের এখতিয়ার না থাকায় তা গ্রহণ করেননি আদালত। পরদিন মঙ্গলবার দেওয়া আদেশে বলা হয়, ‘মামলাটি ভুক্তভোগীর পক্ষে তাঁর স্ত্রী তৃতীয় পক্ষ বাদী হয়ে করেছেন। তৃতীয় পক্ষ দায়রা জজ আদালতে নির্যাতনের অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন। এ অবস্থায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০০৩-এর ৭(১) অনুযায়ী অভিযোগকারীর দাখিল করা মামলাটি গ্রহণের এখতিয়ার না থাকায় মামলাটি যথাযথ আদালতে দাখিলের জন্য প্রেরণ করা হোক।’