চট্টগ্রামে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যার দায়ে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ৯ বছরের শিশু ফাতেমা আক্তার মীমকে হত্যার দায়ে আটজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জামিউল হায়দার এ রায় দেন।

এই আটজন হলেন মইনুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, হাসিবুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, মোহাম্মদ হাসান, মো. সুজন, মো. মেহেরাজ ও শাহাদাত হোসেন। আজ রায় ঘোষণার সময় শাহাদাত হোসেন ছাড়া অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। শাহাদাত ঘটনার পর থেকে পলাতক।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সরকারি কৌঁসুলি এম এ নাসের প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আট আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পর আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি নগরীর আকবর শাহ থানার একটি বাসা থেকে খেলতে বের হয় শিশু ফাতেমা আক্তার। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাতে ওই এলাকার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে ফাতেমার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বিবি রাবেয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তাঁরা বলেন, শিশু ফাতেমাকে তাঁরা দল বেঁধে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি সে কাউকে বলে দিতে পারে, সেই ভয় থেকে তাঁরা তাকে হত্যা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। পরের বছরের ২৬ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে শিশুটির মা বিবি রাবেয়া প্রথম আলোকে বলেন, উচ্চ আদালতেও যেন এ রায় বহাল থাকে। আর কোনো শিশুকে যেন এভাবে প্রাণ হারাতে না হয়।