চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ১০ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন

আদালত
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন হত্যা মামলায় ১০ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাঁচজনকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ রায় দেন।

ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন সাতকানিয়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিনসহ মো. মানিক, মো. জাহেদ, মো. রাশেদ, মো. তারেক, জিল্লুর রহমান, মো. রফিক, ফোরক আহমেদ, জসিম উদ্দিন ও বশির আহমেদ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন মোরশেদ আলম, মো. আইয়ুব, মো. ইদ্রিস, মো. হারুন ও মো. ইদরিস আলম।

রায়ে খালাস পেয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন আবু তাহের, আবদুল মালেক, খায়ের আহমেদ ও মোস্তাক আহমেদ।

আসামিদের সবার বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলায়।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি মো. আইয়ুব খান প্রথম আলোকে বলেন, রায়ে ১০ জনকে ফাঁসির আদেশ ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, পাঁচজনকে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

সরকারি কৌঁসুলি আইয়ুব খান জানান, মামলায় মোট আসামি ছিলেন ২০ জন। এর মধ্যে একজন মারা যান। ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত আজ রায় দেন।

মামলা ও আদালতের নথির সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ৪ অক্টোবর রাত ১২টার দিকে সাতকানিয়া থানার মির্জাখীল বাংলাবাজার এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসে কথা বলার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইপির চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় ২০ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী সৈয়দা রওশন আক্তার। মামলাটির তদন্ত শেষে ২০ জনের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০০৪ সালের ২৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু করেন আদালত।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মামলার বাদী ও নিহত ব্যক্তির স্ত্রী সৈয়দা রওশন আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, রায়ের জন্য এত বছর অপেক্ষায় ছিলেন। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে। এটি উচ্চ আদালতেও যাতে বহাল থাকে, সেই প্রত্যাশা তাঁর।